ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় ৮ মাস পর কবর থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উত্তোলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৪৮ বার
বিজয় দাস, নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনায় দীর্ঘ ৮ মাস পর ইমরুল ইসলাম শেখ নামের এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছেন মদন থানার পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের ইকরাটিয়া গ্রামের ওই ব্যবসায়ীর পারিবারিক কবর স্থান থেকে মৃতদেহটি উত্তোলণ করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ীর ছেলের দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় আটপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়, মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের হাবিবুর, হারেছ মিয়া ও আটপাড়া উপজেলার ইকরাটিয়া গ্রামের ইমরুল ইসলাম শেখ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ট্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণের ব্যবসা করে আসছিল। প্রতিদিনের মত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রয়ারী সকালে বালু উত্তোলণের জন্য মদন উপজেলার জাওলা মরা নদীর পাড়ে যায় ইমরুল ইসলাম শেখ। সেখানে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে ইমরুল ও তার পাটনার জাওলা গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে আল আমিন, হারেছসহ ৪/৫ জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই দিন ইমরুল ইসলাম তার নিজ বাড়ির সামনে মারা গেলে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মৃতদেহটি ইকরাটিয়া গ্রামে দাফন করা হয়।

ঘটনার ৭ মাস পর (১৪ আগস্ট) জাওলা বাজারের চায়ের দোকানে ইমরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে বলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে নিহতের ছেলে মাইনুল ইসলাম মান্না বাদী হয়ে জাওলা গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে আলামিনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন কে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ১২ সেপ্টেম্বর মদন থানায় একটি হত্যা মামলা রজু করা হয়। এই হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী ইমরুল ইসলামের মৃতদেহের ময়না তদন্তনের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তোলন করেন পুলিশ।

এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, আদালতের নির্দেশনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার ইমরুল ইসলামের মৃতদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নেত্রকোনায় ৮ মাস পর কবর থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উত্তোলন

আপডেট টাইম : ০৯:০২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিজয় দাস, নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনায় দীর্ঘ ৮ মাস পর ইমরুল ইসলাম শেখ নামের এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছেন মদন থানার পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের ইকরাটিয়া গ্রামের ওই ব্যবসায়ীর পারিবারিক কবর স্থান থেকে মৃতদেহটি উত্তোলণ করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ীর ছেলের দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় আটপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়, মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের হাবিবুর, হারেছ মিয়া ও আটপাড়া উপজেলার ইকরাটিয়া গ্রামের ইমরুল ইসলাম শেখ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ট্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণের ব্যবসা করে আসছিল। প্রতিদিনের মত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রয়ারী সকালে বালু উত্তোলণের জন্য মদন উপজেলার জাওলা মরা নদীর পাড়ে যায় ইমরুল ইসলাম শেখ। সেখানে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে ইমরুল ও তার পাটনার জাওলা গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে আল আমিন, হারেছসহ ৪/৫ জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই দিন ইমরুল ইসলাম তার নিজ বাড়ির সামনে মারা গেলে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মৃতদেহটি ইকরাটিয়া গ্রামে দাফন করা হয়।

ঘটনার ৭ মাস পর (১৪ আগস্ট) জাওলা বাজারের চায়ের দোকানে ইমরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে বলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে নিহতের ছেলে মাইনুল ইসলাম মান্না বাদী হয়ে জাওলা গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে আলামিনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন কে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ১২ সেপ্টেম্বর মদন থানায় একটি হত্যা মামলা রজু করা হয়। এই হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী ইমরুল ইসলামের মৃতদেহের ময়না তদন্তনের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তোলন করেন পুলিশ।

এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, আদালতের নির্দেশনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার ইমরুল ইসলামের মৃতদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।